স্বাধীনতার মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ঐতিহাসিক জনপদ সাতৈর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন প্রস্তাবিত ইউএনও পার্কে বনভোজনের আয়োজন করা হয়।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে স্মৃতিচারণ, খেলাধুলা, বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা, অভিনয়, আবৃত্তি এবং সর্বশেষ স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক ও মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর প্রশাসনের উদ্যোগে এই ব্যতিক্রম ধর্মী আয়োজনে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেক মু্ক্তিযোদ্ধা।
উপজেলা মু্ক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুর রউফ সিদ্দিকি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বোয়ালমারীতে এটাই প্রথম এমন আয়োজন করে বিরল সম্মান প্রদান করলো উপজেলা প্রশাসন, আমি মুগ্ধ। ডেপুটি কমাণ্ডার বীর মু্ক্তিযোদ্ধা কেএম জহুরুল হক জহুর বলেন, এমন আয়োজনে আমরা গর্বিত, বোয়ালমারীর সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আবেদন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেন প্রতিবছরই এমন আয়োজন করা হয়।
প্রায় দেড়শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার অংশগ্রহণে দিনব্যাপী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মোল্যা, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেখা পারভিন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মাদ আব্দুল ওহাব, হিন্দু মহাজোট নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবু সুবাস সাহা, সাতৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু, বীর মু্ক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ জলিল, অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন লিটন, বোয়ালমারী বার্তা সম্পাদক এ্যাড. কোরবান আলী প্রমুখ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস